Thursday, August 15, 2019

বোরহানউদ্দিনে নানা আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস-২০১৯ পালিত









জেএম.মমিন(ভোলা) বোরহানউদ্দিন: ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৯ পালিত হয়েছে ৷
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন  বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামীলীগ,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সহ বিভিন্ন সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ।
বিবসটি উপলক্ষে ওইদিন সকাল ৯ টায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজন করা হয় রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ৷ রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন এর সামনে থেকে একটি শোক
র‍্যালি বের হয়ে পৌর বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
পরবর্তীতে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোছা: খালেদা খাতুন রেখার সভাপতিত্বে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ৷
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহন করেন, ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল (এমপি) ৷
এসময় বিশেষ অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ,পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম,  ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল আহম্মদ,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা ইয়াসমিন,উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিন হায়দার, বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক প্রমুখ।
এছাড়া এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, রাজনৈতিক ব্যাক্তি বর্গ, সাংবাদিক বৃন্দ, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
অনুষ্ঠান শেষে অথিতিবৃন্দ রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও গাছের চারা বিতরণ করেন।

Monday, August 5, 2019

১০ জনকে পিটিয়ে আহত করল ইউপি চেয়ারম্যান"কামরুল"





ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল আহসান চৌধুরী ইউপি ভবনে ১০ ব্যক্তিকে  পিটিয়ে  আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ৷ নতুন ভোটার অন্তভুক্তির জন্য ব্যবহৃত জন্মনিবন্ধন কার্ড প্রদানে গরিমসি ও তার কথা অমান্য করায় চেয়ারম্যান ক্ষুব্দ হয়ে তাদের উপর এ হামলা চালায়। হামলায় কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে বলে তারা দাবী করেন ।আহতের মধ্যে জুয়েল,খসরু ও জুনায়েত এর নাম জানা গেলেও অন্যদের নাম জানা যায়নি।পরে ক্ষুব্দরা সংঘবব্দ হয়ে পরিষদ ঘেরাও করে চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করেন।স্থানীয় থানা পুলিশ ঘটনাস্তলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করেন। রবিবার বিকালে টবগী ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।এ সব তথ্য আহতদের সূত্রে প্রাপ্ত।
টবগী ইউনিয়নের ৬নংওয়ার্ডের সফি আলম এর ছেলে আহত জুয়েল জানায়,গত ১৭ জুলাই জন্ম নিবন্ধন কার্ডের জন্য পরিষদে দু’শত টাকা জমা দেই।সচিব আমাকে ২৭ তারিখে পরিষদে যেতে বলেন। আমি একাধিক বার গিয়ে ব্যর্থ হই।আজকে ও কার্ড না পেয়ে আমি চৌকিদারকে ঘুরাঘুরি না করে কার্ডটি দিতে বলি।এ কথা শুনে চেয়ারম্যান আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে জামার কলার ধরে নিয়ে যায়।গাবের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে মেরে আমাকে আহত করে।তিনি জানায়,আমার পর আরও একাধিক ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
৫নং ওয়ার্ডের দালালপুর গ্রামের ফখরুল আলম এর ছেলে প্রবাসী খসরু জানান,তিনি জন্মনিবন্ধন কার্ড করে ওই অনুসারে পাসপোর্ট করে আড়াই বছর সেৌদি ছিলেন।বর্তমানে ভোটার হওয়ার জন্য দেশে আসেন।ভোটার হলে চাইলে চেয়ারম্যান তাকে বলেন,অনলাইনে জন্মনিবন্ধন করতে হবে।তখন তিনি বলেন,আমার জন্মনিবন্ধন করা আছে।পার্সপোর্টের সাথে সঙ্গতি রেখে ওটা দিয়েই আমি ভোটার হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিব। তার সাথে দ্বিমত পোষণ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান আমাকে রড দিয়ে প্রচুর মারধর করে আহত করে।পরে বিক্ষুব্দ জনতা সংবদ্ধ হয়ে চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে। পুলিশ এসে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করছে বলে তারা জানান।তারা আরও জানান,চেয়ারম্যান সাথে এলাকার লোকজন ভালোমন্দ কথা বলতে পারেন না।সব সময় পরিষদে তার লাঠি থাকে।কেউ তার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করলেই তাকে মারধর করেন।
তবে টবগী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল হাসান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে পরিচয় পেয়ে তিনি সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করেন।
তবে থানা সূত্রে জানা যায়,টবগী ইউনিয়নে ভোটার তালিকা তৈরী করা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে এমন কথা বলে পুলিশি সহায়তা চান ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুল কাদের (চলতি দায়িত্ব) জানান,ইউপি ভবনের রড ভাঙ্গা দেখলাম।চেয়ারম্যান অনলাইনে নিবন্ধন করা নিয়ে স্থানীয় কিছু লোকসহ এক প্রবাসীকে মারধর করছে ।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান,নতুন ভোটার অন্তভূক্তির জন্য আসা লোকজনের সাথে আজকে চেয়ারম্যান কামরুল হাসান যে ঘটনা ঘটিয়েছে এটা তার চরিত্রের বহি:প্রকাশ।উনি সব সময় মানুষকে গালিগালাজ করে থাকেন এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করেন।তার দ্বারা সৃষ্ঠ এ অমানবিক কাজের জন্য আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে নিন্দা প্রকাশ করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা জানান,অভিযোগকারীদের বক্তব্য ও সরেজমিন পরিদর্শনে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।