Thursday, August 15, 2019

বোরহানউদ্দিনে নানা আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস-২০১৯ পালিত









জেএম.মমিন(ভোলা) বোরহানউদ্দিন: ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৯ পালিত হয়েছে ৷
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন  বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামীলীগ,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সহ বিভিন্ন সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ।
বিবসটি উপলক্ষে ওইদিন সকাল ৯ টায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজন করা হয় রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ৷ রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন এর সামনে থেকে একটি শোক
র‍্যালি বের হয়ে পৌর বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
পরবর্তীতে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোছা: খালেদা খাতুন রেখার সভাপতিত্বে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ৷
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহন করেন, ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল (এমপি) ৷
এসময় বিশেষ অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ,পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম,  ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল আহম্মদ,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা ইয়াসমিন,উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিন হায়দার, বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক প্রমুখ।
এছাড়া এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, জনপ্রতিনিধিগণ, রাজনৈতিক ব্যাক্তি বর্গ, সাংবাদিক বৃন্দ, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
অনুষ্ঠান শেষে অথিতিবৃন্দ রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও গাছের চারা বিতরণ করেন।

Monday, August 5, 2019

১০ জনকে পিটিয়ে আহত করল ইউপি চেয়ারম্যান"কামরুল"





ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল আহসান চৌধুরী ইউপি ভবনে ১০ ব্যক্তিকে  পিটিয়ে  আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ৷ নতুন ভোটার অন্তভুক্তির জন্য ব্যবহৃত জন্মনিবন্ধন কার্ড প্রদানে গরিমসি ও তার কথা অমান্য করায় চেয়ারম্যান ক্ষুব্দ হয়ে তাদের উপর এ হামলা চালায়। হামলায় কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে বলে তারা দাবী করেন ।আহতের মধ্যে জুয়েল,খসরু ও জুনায়েত এর নাম জানা গেলেও অন্যদের নাম জানা যায়নি।পরে ক্ষুব্দরা সংঘবব্দ হয়ে পরিষদ ঘেরাও করে চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করেন।স্থানীয় থানা পুলিশ ঘটনাস্তলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করেন। রবিবার বিকালে টবগী ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।এ সব তথ্য আহতদের সূত্রে প্রাপ্ত।
টবগী ইউনিয়নের ৬নংওয়ার্ডের সফি আলম এর ছেলে আহত জুয়েল জানায়,গত ১৭ জুলাই জন্ম নিবন্ধন কার্ডের জন্য পরিষদে দু’শত টাকা জমা দেই।সচিব আমাকে ২৭ তারিখে পরিষদে যেতে বলেন। আমি একাধিক বার গিয়ে ব্যর্থ হই।আজকে ও কার্ড না পেয়ে আমি চৌকিদারকে ঘুরাঘুরি না করে কার্ডটি দিতে বলি।এ কথা শুনে চেয়ারম্যান আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে জামার কলার ধরে নিয়ে যায়।গাবের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে মেরে আমাকে আহত করে।তিনি জানায়,আমার পর আরও একাধিক ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
৫নং ওয়ার্ডের দালালপুর গ্রামের ফখরুল আলম এর ছেলে প্রবাসী খসরু জানান,তিনি জন্মনিবন্ধন কার্ড করে ওই অনুসারে পাসপোর্ট করে আড়াই বছর সেৌদি ছিলেন।বর্তমানে ভোটার হওয়ার জন্য দেশে আসেন।ভোটার হলে চাইলে চেয়ারম্যান তাকে বলেন,অনলাইনে জন্মনিবন্ধন করতে হবে।তখন তিনি বলেন,আমার জন্মনিবন্ধন করা আছে।পার্সপোর্টের সাথে সঙ্গতি রেখে ওটা দিয়েই আমি ভোটার হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিব। তার সাথে দ্বিমত পোষণ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান আমাকে রড দিয়ে প্রচুর মারধর করে আহত করে।পরে বিক্ষুব্দ জনতা সংবদ্ধ হয়ে চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে। পুলিশ এসে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করছে বলে তারা জানান।তারা আরও জানান,চেয়ারম্যান সাথে এলাকার লোকজন ভালোমন্দ কথা বলতে পারেন না।সব সময় পরিষদে তার লাঠি থাকে।কেউ তার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করলেই তাকে মারধর করেন।
তবে টবগী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল হাসান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে পরিচয় পেয়ে তিনি সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করেন।
তবে থানা সূত্রে জানা যায়,টবগী ইউনিয়নে ভোটার তালিকা তৈরী করা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে এমন কথা বলে পুলিশি সহায়তা চান ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুল কাদের (চলতি দায়িত্ব) জানান,ইউপি ভবনের রড ভাঙ্গা দেখলাম।চেয়ারম্যান অনলাইনে নিবন্ধন করা নিয়ে স্থানীয় কিছু লোকসহ এক প্রবাসীকে মারধর করছে ।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান,নতুন ভোটার অন্তভূক্তির জন্য আসা লোকজনের সাথে আজকে চেয়ারম্যান কামরুল হাসান যে ঘটনা ঘটিয়েছে এটা তার চরিত্রের বহি:প্রকাশ।উনি সব সময় মানুষকে গালিগালাজ করে থাকেন এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করেন।তার দ্বারা সৃষ্ঠ এ অমানবিক কাজের জন্য আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে নিন্দা প্রকাশ করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা জানান,অভিযোগকারীদের বক্তব্য ও সরেজমিন পরিদর্শনে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

Wednesday, July 24, 2019

বদরপুরে মা-ইলিশ সংরক্ষণে সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বয় সভা



ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নে ইলিশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষে ইউনিয়ন পর্যায়ে  সহ-ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউএসএআইডির অর্থায়নে, মৎস অধিদপ্তর ও ওর্য়াল্ডফিসের সহায়তায় কোস্ট ট্রাস্টের বাস্তবায়ধীন ইকোফিশ প্রকল্প এর আয়োজন করে।
বুধবার সকাল ১১ টায় বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে স্থানীয় ইউপি সদস্য ওমর ফারুক তালুকদারের সভাপত্বিতে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সুদীপ্ত মিশ্র । এসময় তিনি বলেন, নদী রক্ষা যেমন আমাদের দায়িত্ব তেমনি নদীর জীব বৈচিত্র, সম্পদ এবং মাছ রক্ষা আমাদের দায়িত্ব । নদীর মাছ রক্ষা মানে আমাদের নিজেদের রক্ষা । তাই মা-ইলিশ রক্ষায় সকল আইন মেনে চলা আমাদের কর্তব্য।
এছাড়া বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কোস্ট ট্রাস্ট ইকোফিশ প্রকল্পের সহ-সমন্বয়কারি সোহেল মাহমুদ । তিনি উপস্থিত জেলেদের উদ্দেশ্যে বলেন,  সরকারি নিষেদ্ধাজ্ঞাকালীন সময়ে মাছ ধরা দন্ডনীয় অপরাধ। ওই সময় নদীতে মাছ না ধরলে আপনাদেরই উপকার। নদীতে উৎপাদন বেশি হলে আপনাদের আয় ও বেশি হবে । এবং সে সময়ে বিকল্প কর্মসংস্থান নানান পরামর্শ প্রদান করেন।
পরে, সবার সম্মতিক্রমে মা-ইলিশ রক্ষায় পূর্বের কমিউনিটি ইলিশ গার্ড কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি করা, নিষেদ্ধাজ্ঞাকালীন সময়ে নদীতে মাছ না ধরা এবং খালের নিদ্দিষ্ট স্থানে সকল নৌকা রাখার জন্য বাঁশ দিয়ে বেড়া দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসব সিদ্ধান্তের সাথে সবাই একাত্বতা প্রকাশ করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,ইউপি সদস্য জামাল খান, আহাদ, ফিল্ড অফিসার নোমান, সিএম নূরনবী, মমিন উদ্দিন,মা-ইলিশ রক্ষায় স্থানীয় সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্ধ, জেলে আড়ৎদার সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

Saturday, July 13, 2019

কোস্ট ট্রাস্ট এবং আভাস এর নির্বাহীর সাথে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা









ঢাকা: বাংলাদেশ সরকারের আয়োজনে ৯ ও ১০ জুলাই ২০১৯ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হল গ্লোবাল কমিশন অন এডাপটেশনের বৈঠক। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনের সভাপতিত্বে অংশ নেন বিশ্বব্যাংকের নির্বাহি পরিচালক ক্রিস্টালিনা গিয়র্গিয়েভা এবং মারশাল আইল্যান্ডসের সভাপতি হিলডা হেইনে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে হোটেল ইন্টার-কনটিনেন্টালে যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। সভাস্থলে উপকূলীয় মানুষের জলবায়ু অভিযোজনের বিভিন্ন দিক বিশ্বনেতৃবৃন্দের সামনে তুলে ধরার জন্য সরকারের আমন্ত্রণে কোস্ট ট্রাস্টের নেতৃত্বে বরিশালের আভাস, খুলনার এওএসইডি, জাগ্রত যুব সংঘ ও সুশীলনের কর্মকর্তাগণ একটি স্টল স্থাপন করে।

১০ জুলায় সকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত স্টল পরিদর্শন করেন এবং কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেন। রেজাউল করিম চৌধুরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ২০১০ সালে গৃহীত তার নীতির কারণে আজ বাংলাদেশে ১৮টি কমিউনিটি রেডিও বাংলাদেশে দৈনিক প্রায় ৬০ ঘন্টা করে জলবায়ু অভিযোজন ও জীবিকা বিষয়ে তথ্য ও বিনোদন সেবা প্রদান করছে এবং এর মধ্যে রয়েছে ৮টি উপকূলীয় কমিউনিটি রেডিও। রেজাউল করিম চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর কাছে সম্মুখসারিতে স্থানীয়ভাবে কর্মরত বেসরকারী সংস্থাগুলোর জন্য সরকারি নীতি সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ছোট ছোট বেসরকারি সংস্থাসমূহের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এসময় আভাসের নির্বাহী প্রধান রহিমা সুলতানা কাজল ও এওএসইডি-র শামীম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আভাস এর নির্বাহী প্রধান রহিমা সুলতানা কাজল কুয়াকাটা অঞ্চলের জন্য ১টি কমিউনিটি রেডিও স্থাপনের দাবী তোলেন।
১০ জুলাই ২০১৯ সকালে বান কি মুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন কোস্ট ট্রাস্টের ভোলা আঞ্চলিক টিম লিডার রাশিদা বেগম। তিনি ভোলার মতো বিচ্ছিন্ন ও দূরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষের জীবনের অনিশ্চয়তা ও দ্বান্দ্বিকতা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের একশত বছরের ডেল্টা পরিকল্পনায় উপকূলের প্রান্তিক মানুষের আরো বেশি অংশগ্রহন দরকার এবং বিদেশি সহায়তাও দরকার।
ঐদিন বিকালে কক্সবাজারের খুরুশকুল আশ্রয়ন প্রকল্প বিষয়ে উপস্থাপন করতে গিয়ে যুগ্ম সচিব মাহবুব হোসাইন বলেন, এটি কুতুবদিয়া দ্বিপ থেকে আসা জলবায়ু তাড়িত মানুষদের জন্য যারা বর্তমানে কক্সবাজার শহরের কুতুবদিয়াপাড়ায় অবস্থান করছেন।
কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক এক অধিবেশনে তার উপস্থাপনায় এই নেপথ্য তথ্যের পাশাপাশি তুলে ধরেন জলবায়ু উদ্বাস্তু ও জলবায়ু বিষয়ক চুক্তি সংক্রান্ত বৈশ্বিক নীতিসমূহ, জাতিসংঘের শরণার্থি ও উদ্বাস্তু বিষয়ক গ্লোবাল কমপ্যাক্ট এবং রাষ্ট্রসমূহ পরিচালিত প্লাটফরম ফর ডিজাস্টার ডিসপ্লেসমেন্ট ইত্যাদি মানবাধিকার নীতিসমূহের কথা। এ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সচিব মনজুরুল হান্নান খান।
উল্লেখ্য যে, কোস্ট ট্রাস্ট ও অন্যান্য স্থানীয় বেসরকারি সংগঠনগুলো সরকারের সাথে ইতিবাচক সম্পৃক্ততায় বিশ্বাসি এবং তারা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও সরকারের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক রেখে কাজ করে থাকেন।

Friday, June 28, 2019

তজুমদ্দিনে দারিদ্র জেলেদের মাঝে কোস্ট ট্রাস্টের ছাগল বিতরণ






জেএম.মমিন,স্টাফ রিপোর্টারঃ উপকূলীয় জেলা ভোলার তজুমদ্দিন উপদেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের হাজীকান্দি এলাকার ৭০ দারিদ্র জেলে পরিবারের মাঝে ছাগল বিতরণ করেছে কোস্ট ট্রাস্ট বাংলাদেশ এর ভোলা শাখা ।
শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে ইউএসএআইডির অর্থায়নে, মৎস্য বিভাগ ও ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশের সহযোগিতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির অংশ হিসেবে তাদের মাঝে ছাগল বিতরণ করে  কোস্ট ট্রাস্ট বাংলাদেশ ৷

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন পোদ্দার, কোস্ট ট্রাস্টের ইকোফিশ প্রকল্পের সহ-সম্বনয়কারী মো. সোহেল মাহমুদ, এফও সবুজ চন্দ্র, সিএম আব্দুল্লাহ, আল-আমিন সহ সংশ্লিষ্ট  অফিসের অন্যান্য  কর্মকর্তা এবং জেলে পরিবারের সদস্যবৃন্দ ৷

এসময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, বর্তমানে সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা জেলেদের জীবনমান উন্নয়ন ও বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে সমন্বয় করে এক সাথে কাজ করে যাচ্ছে ৷ এছাড়া তিনি ছাগল  লালন পালনে যত্নবান হতে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা এবং কিভাবে লালন পালন করলে লাভবান হওয়া যায় সে সম্পর্কে সদস্যদের অবহিত করেন ৷

এছাড়া এসময় ইকোফিশ প্রকল্প,কোস্ট ট্রাস্টের সহ সমন্বকারী ( টিএস) মোঃ সোহেল মাহমুদ বলেন, আমাদের প্রকল্পের প্রধান কাজ গুলোর মধ্যে হচ্ছে জেলেদেরকে ঐক্যবদ্ধ করা, তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, তাদের ন্যায্য অধিকার আদায় এবং সাবলম্বী করে গড়ে তোলা ৷ এরই ধারাবাহিকতায়  আমরা এ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলে ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে ছাগল বিতরণসহ বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষন দিয়ে তাদের মাঝে বিনামূল্যে উপরণ দিয়ে যাচ্ছি। এতে অনেক জেলে উপকৃত হয়েছে। এবং আজ অনেকের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে ।

Thursday, June 27, 2019

যাযাবর বৃদ্ধা তাজু বেগমের পাশে নেই কেউ








নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আমাদের জীবনটা কখনো হাঁসির আবার কখনো কান্নার। এই হাঁসি ও দুঃখের জীবন নিয়ে চলতে হয় আমাদের। তবে নিয়তি এমন কিছু মানুষের কপালে শুধু দুঃখই রেখেছেন বলে মনে হয়। আর তাঁর মধ্যে ভোলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ভাসমান তাজু বেগম (৫৫) একজন।

জন্মভূমি ভোলায় হলেও একটুও সুখ নেই জীবনে। জন্মের পর থেকে কিছুটা প্রতিবন্ধী রুপে রুপান্তরিত হন তাজু বেগম। যাঁর জন্য শৈশব, কিশোর জীবন কেটে এখন বৃদ্ধ জীবনে আবদ্ধ হন। অসহায়, দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী বলে হয়তো নজরে পড়েনি কারো। তাই তো বিয়েও জুটেনি কপালে। এমন মন্দ কপাল নিয়ে জন্মগ্রহণ করে কতটা কষ্টে বেঁচে আছেন তাজু বেগম। সেটা শুধু তিনিই একমাত্র ভালো করে জানেন।

এতো কষ্টের পরেও একটুও কি নজর পড়েনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চোখে? হয়তো পড়েছে, কিন্তু পরেও লাভ কি যদি সেই চোখ থাকে অন্ধতে ঢাকা।

আমরা সাংবাদিক, আমরা জাতির বিবেক। এটা সবাই ই বলে, তাই তো জাতির বিবেক কে জাগিয়ে তুলতে মুঠোফোনে এই প্রতিনিধির কাছে খবর আসে। মুঠোফোনে অন্যর দেওয়া তথ্য শুনে নিজে আর স্থির থাকতে পারলাম না। সকাল হলেই ছুটে যাই সেই অসহায় দরিদ্র তাজু বেগমকে দেখতে। স্থায়ী কোন বাড়ি নেই, কোথায় খুঁজে পাই তাকে? এই বাড়ি সেই বাড়ি খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে দেখা মেলে বাবুল নামে এক ব্যক্তির ঘরে। চেহারাটা দেখে, সবকিছু জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম এতোদিন পর্যন্ত একটা চালের কার্ডও পায়নি সে, অথচ সেই এলাকার জনপ্রতিধিদেরকেই ভোট দিয়ে নির্বাচন করেছেন তিনি।

এই বিষয়ে উত্তর দীঘলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মুনসুরের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ফোন দিয়ে ও রিছিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ভোলায় জেলে পরিবারের গবাদিপশুর চিকিৎসা ও টিকাদান







ভোলা প্রতিনিধি: চলতি ভরা মৌসুমে ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে দেখা মিলছে না রুপালি ইলিশের। তাই অসহায়ের মতো দারিদ্র জীবন যাপন করছে স্থানীয় উপকুলীয় জেলেরা । সামনে কোরবানীর ঈদ। জেলেদের গবাদী পশুদের দরকার টিকা ও ভিটামিন।  হাতে নেই টাকা। দুচিন্তা গ্রস্থ হয়ে পরছে তারা। আর এসব অসহায় জেলেদেরকে হাত বাড়িয়ে দিলো ইউএসএঅাইডির অর্থায়নে প্রানী সম্পদ ও মৎস্য বিভাগের সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ট্রাস্টের  বাস্তবায়ধীন ইকোফিশ প্রকল্প। বিনামূল্যে জেলেদের গবাদী পশুদের টিকা ও চিকিৎসা দিচ্ছে তারা।

বৃহস্পতিবার সকালে ভোলার দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের মেদুয়া গ্রামের ৫ শত’ গরু, ছাগলকে বিনামূল্যে টিকা ও চিকিৎসা প্রদান করে ইকোফিশ প্রকল্প,কোস্ট ট্রাস্ট,ভোলা। প্রাণী সম্পদ উন্নয়নের লক্ষে টিকাদান কর্মসূচীর মাধ্যমে এ টিকা ও চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

ওয়ার্ল্ড ফিশের ভোলার রির্সাস এ্যাসোসিয়েড অংকুর মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, আমরা সারা বছর জেলেদের নিয়ে কাজ করি। তাদের সুখে, দূখে পাশে থাকি। জেলেদের স্বাবলম্বী করাই আমাদের উদ্দেশ্য । তিনি আরো বলেন, নদীতে যখন অভিযান থাকে ও নদীতে মাছ কম পরে সে সময় জেলেদের অনেক অভাব থাকে। আমরা জেলেদের স্বাবলম্বী করার জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তাদের মাঝে বিনামূল্যে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগীসহ বিভিন্ন সবজীর বীজ প্রদান করি। যাতে তারা ওই সময়গুলোতে অভাবে না পরে ।

ইকোফিশ প্রকল্প,কোস্ট ট্রাস্টের সহ সমন্বকারী ( টিএস) মোঃ সোহেল মাহমুদ বলেন, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তাদেরকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলাই আমাদের কাজ। আমরা এ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলে ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষন দিয়ে তাদের মাঝে বিনামূল্যে উপরণ দিয়ে যাচ্ছি। এতে অনেক জেলে উপকৃত হয়েছে। ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে অনেকের।

দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের মেদুয়া গ্রামের গৃহবধূ নাহার বেগম (৩০) বলেন, আমার স্বামী ইউসুফ একজন জেলে। আমাদের কোন জমি-জমা নেই। নদীতে মাছ শিকার করে সংসার চলে আমাদের। মাছ না ধরতে পারলে এ সময় অনেক অভাবে থাকতে হতো আমাদের। এখন এ প্রকল্পের মাধ্যমে গরু ও ছাগল পেয়েছি। তা লালন পালন করে সংসারে বাড়তি আয় করছি। এখন অনেক ভাল আছি।

একই গ্রামের ফাতেমা বেগম বলেন, সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের পাশে দাড়িয়েছে। আমরা এখন নদীর উপর শুধু নির্ভর করিনা। বিকল্প কাজ করে স্বামীর পাশাপাশি আয় করছি। সন্তানদের লেখা পড়াও ভাল ভাবে চলছে। নিজেরা অনেক ভাল আছি।

বিনামূল্যে টিকা ও চিকিৎসা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আলী, দৌলতখান উপজেলার সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ার হোসেনসহ প্রমূখ।